প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সেদিন আর বেশি দূরে নয়, হয়তো বলবে পুরুষ অধিকার কমিটি গঠন করা হচ্ছে। তবে সেই কমিটি গঠনেও আমার সমর্থন থাকবে বলে হাস্যরসিকতা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (২২ জুন) সকালে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ হাস্যরস করেন।
এরআগে সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিনের কার্যসূচি শুরু হয়।
প্রশ্নকর্তা ইউপি নির্বাচনে নারীরা অংশগ্রহণ করে বৈষম্যের স্বীকার হচ্ছে বলে প্রশ্ন করেন। বৈষম্যের কথা উল্লেখ করে বলেন, যারা সংরক্ষিত আসনে নির্বাচিত হচ্ছেন, তারা তিনটি আসন নিয়ে নির্বাচন করছে, কিন্তু সেই সুযোগ সুবিধা তারা পাচ্ছে না।
এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সবার জন্য উন্মুক্ত, শুধুমাত্র পুরুষদের জন্য বলে কথা নেই। তবে আমরা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূল থেকে নারী নেতৃত্বকে উঠিয়ে আনার জন্য সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করি। এখানে কোনো পুরুষের নির্বাচন করার সুযোগ নেই। তৃণমূল থেকে নারী নেতৃত্ব উঠে আসার জন্য এটা একটা মাইলফলক।
এছাড়া প্রত্যেকটি আসনে নারীরা প্রতিযোগিতা করতে তাদের জন্য অতিরিক্ত সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে সংরক্ষিত আসনে। যখন এটা করি তখন নানাদিক থেকে বাধা এসেছিল। প্রার্থী হতে দেবে না, নির্বাচন করতে দেবে না, নানা কথা। পরে দেখা গেল ১২ হাজার সংরক্ষিত পদের জন্য ৪৫ হাজার নারী প্রার্থী হয়েছে। যারা বাধা দিয়েছিল তারাই পরে সেই নারী সদস্যের পক্ষে ভোট চেয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী হাস্যরস করে বলেন, মাননীয় স্পিকার আমি ভেবেছিলাম নারীদের এতো ক্ষমতা দিয়েছি, পুরুষদের জন্য কি করলাম। তাদের জন্য আলাদা কিছু করবো কি না সেই প্রশ্ন করবেন, কিন্তু উনি সেটা করেন নাই। সেদিন বেশি দূরে নয়, হয়তো বলবে পুরুষ অধিকার কমিটি করা হচ্ছে, করলে আমার সমর্থন পাবে।
লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শাহজাহান কামালের অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ যাতে আসে সেজন্য বিভিন্ন রকম সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এরজন্য বাংলাদেশ উদারনীতি গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ উদার সুযোগ দিচ্ছে এটা বিশ্ব স্বীকৃত।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩১ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৬
No comments:
Post a Comment